ইয়াছিন আরাফাত, চবি প্রতিনিধিঃ
প্রশাসনের নিয়ম মেনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) গেইট না খোলায় গার্ডকে বেধড়ক মারধর করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সুমন নাছির ও তার নেতৃত্বাধীন ১০-১৫ জন ছাত্রলীগ কর্মী। মারধরের স্বীকার গার্ডের নাম শাহাদাত হোসেন এবং তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল গেইট প্রশাসনের নির্দেশে বন্ধ রাখা হয়েছে।প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে ছাত্রলীগ নেতা সুমন নাছির ও তার কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেইট দিয়ে প্রবেশ করতে চাইলে দায়িত্বরত গার্ড শাহাদাত হোসেন তাদের বাধা দেন। এবং প্রশাসনের নির্দেশ মোতাবেক চলে যেতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে বেধড়ক লাথি, ঘুষি মেরে আহত করে।
ভুক্তভোগী শাহাদাত হোসেন জে নিউজকে বলেন, "আমি সন্ধ্যায় দায়িত্বরত অবস্থায় ছিলাম, সুমন নাসির সহ ছাত্রলীগের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী এসে ভিতরে প্রবেশ করতে চায়, আমি তাদের বাধা প্রদান করি এবং আমার কাছে চাবি না থাকার কথা জানাই। এ কথায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও আমার উপর আক্রমণ করে। কিল, ঘুষি মারতে মারতে বুকে লাথি মারে এবং রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর চেয়ার দিয়ে মাথায় আঘাত করে।"
অভিযুক্ত সুমন নাছির কথাটি অস্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, "এমন কোন ঘটনা ঘটেনি, আমরা গার্ডকে মারধর করিনি। উল্টো তিনি আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে এবং আমার এক ছোট ভাইকে আঘাত করে। গার্ডের মানসিক সমস্যা আছে জানতে পেরে আমরা চলে আসি।"
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল জে নিউজকে বলেন,"যারা অপরাধী, যদি কেউ অপরাধ করে থাকে তাহলে অবশ্যই তাদের শাস্তি হবে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। আর তারা যদি নিজেরদের মধ্যে মিমাংসা করে তাহলে ভালো, জীবন চলার পথে ভুল হতে পারে।"
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রবিউল হাসান ভূইয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ভুক্তভোগী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী। মারধরের খবর পেয়ে আমি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। যারা তাকে মারধর করেছে তাদের নেতৃত্বে সুমন নাছির নামক ছাত্রলীগের এক সাবেক সহ সভাপতি ছিলো। বাকিদের পরিচয় নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ বাচ্চু বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের কাছে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।