বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে অক্সিজেনের অভাবে ও চিকিৎসক - নার্সদের অবহেলায় এক করোনা রোগী মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে রোগীর স্বজনেরা হাসপাতালে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মৃত ওই রোগীর নাম মো. চম্পা বেগম (২৯)। তিনি উপজেলার মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামের মো. নুর মোহম্মাদের স্ত্রী।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে ওই রোগীর মৃত্যু হয়। তবে অেিক্সজেন ও অবহেলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মৃত মোসা. চম্পা বেগমের বোনের ছেলে মো. শামিম (২১) বলেন,‘ আমার খালাকে নিয়ে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হয়। বুধবার দিন সকাল সকাল থেকে অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়। এসময় রোগীর শ্বাস কষ্ট বাড়তে থাকে। ডাক্তার আকতারুজ্জামানকে এবিষয়ে জানালে তিনি নার্স অর্পণার কাছে পাঠান। অর্পণার পিছনে ২ঘন্টা ঘুরেও অক্সিজেন পাইনি। পরে বেলা ১২টার দিকে বাহির থেকে অক্সিজেন কিনে আনি। ততক্ষণে রোগীর অবস্থার ব্যাপক অবনতি ঘটে।
শামিম আরও বলেন,‘ ডাক্তার, নার্স ও ওয়ার্ড বয় রোগীর কোন খোঁজ খবর রাখেনি। তাদের কাছে আসলে তারা বিরক্ত হন। হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ২শ টাকা নিয়েও রোগীর খোঁজ নেয়নি। তাদের অবহেলা ও অক্সিজেনের অভাবেই আমার খালার মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে এক রোগীর মৃত্যুর পরে ওই ইউনিট ত্যাগ করে বাড়িতে চলে গেছেন মোসা. নাসরিন (২১) নামের এক করোনা রোগী। নাসরিনের স্বামী আবদুল মমিন জানান,‘ হাসপাতালে সেবার মান ভালো না। সময় মত চিকিৎসক পাওয়া যায় না। নেই অক্সিজেন। তাই বাড়িতে নিয়ে আসছি। বাড়িতে বসেই চিকিৎসা চলছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স অপর্ণা বলেন,‘ আমার উপর আনিত অভিযোগ মিথ্যা। যতক্ষণ অক্সিজেন ছিল ততক্ষণ অক্সিজেন দিয়েছি।
এবিষয়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পিকে সাহা বলেন,‘ চিকিৎসাক এবং নার্সদের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন,‘ অক্সিজেনের কোন অভাব নেই। তাহলে রোগীদের কেনো বাহির থেকে অক্সিজেন কিনতে হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘ এবিষয়ে আমার জানা নেই।
এবিষয়ে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন,‘ এবিষয়ে বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।