মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান, গাজীপুর :
টানা ১৪ দিন লকডাউনের পর শিথিলের প্রথম দিনে রাজধানীর প্রবেশে মুখ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বিভিন্ন স্থানে তীব্র যানজটের দেখা দিয়েছে। দিনভর এই সড়কে যাতায়াতকারী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন।
সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা কোরবানির পশুবাহী পরিবহন ও যাত্রীবাহী পরিবহনের যাত্রীরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই এমন যানজটের চিত্র দেখা গেছে।
জানা যায়, এই সড়কে দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের রেডিও কলোনি থেকে গেন্ডা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার, আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চক্রবর্তী থেকে বাইপাইল পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের নরসিংহপুর থেকে বেড়িবাঁধ পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের দেখা গেছে। অন্যদিকে টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কে গাড়ির চাপ প্রচুর।
সাত্তার হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, বাসে উঠে বাইপাইল যাবো ভেবেছিলাম। কিন্তু বাসে উঠার একটুপরেই দেখি বিশাল যানজট। সেখানে বারইপাড়া থেকে বাইপাইল যেতে আগে লাগতো ২০ মিনিট। এখন দেড় ঘণ্টা ধরে বসে আছি ইপিজেডই পার হতে পারিনি।
টাঙ্গাইলের সখিপুর থেকে গরুবোঝাই ট্রাক নিয়ে গাবতলির একটি হাটে যাবেন এখলাস। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে এই যানজটে আটকে আছেন। এতে তিনি ও তার গরুগুলো গরমে হাঁসফাঁস করছে।
হাসান নামে একজন গরু ব্যবসায়ী জানান, জিরানী পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জ্যামে পড়ে গেছি। দেড় ঘণ্টা ধরে বসে আছি এখনো বাইপাইল পার হতে পারি নাই। শুধু জ্যাম হলে হয় কিন্তু অনেক রোদ। গরমের জন্য গরুগুলোর মুখদিয়ে লালা বের হইতাছে। আল্লাহ ভালো জানে কি হবে?
সাভার জোনের টিআই আব্দুস সালাম জানান, আজ থেকে গণপরিবহন চলাচলের কারণে চাপটা আরেকটু বেড়েছে। আমাদের ট্রাফিক সদস্যরা সব সময় সড়কে রয়েছে। শিগগিরি যানজট নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।