আজিজুল ইসলাম বারী, লালমিনরহাট প্রতিনিধিঃ
শখের বসে চুঁই গাছ লাগিয়ে তা লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করে এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করে দিয়েছেন মহিউল ফারুক বুলবুল (৪৮) নামে এক কৃষক।
তিনি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বুলবুলের ছেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চুঁই গাছের ছবি দিয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রির কথা পোষ্ট করলে সে টি ভাইরাল হয়। এতে চুঁই গাছটি নিয়ে মানুষের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি হয়৷ অনেকেই এর চাষ পদ্ধতি ও চারা নিয়ে খোঁজখবর করছেন। তার বাড়িতে বিভিন্ন কৃষক ভির জমায়।
জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের বানিনগর এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে মহিউল ইসলাম বুলবুল। চার বছর আগে শখের বশে পাঁচটি চুঁই গাছ বাড়ির বাগানে বিভিন্ন গাছের গোড়ায় রোপণ করেন। আম গাছে লাগানো একটি চুঁই পান গাছ গত মঙ্গলবার ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
গাছটি কিনেছেন একই উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কাঞ্চনেশ্বর গ্রামের চুঁই ঝালের পাইকারি ব্যবসায়ী আজিজুল ইসলাম ( ৪৫)। গাছের গোড়াটির দৈর্ঘ্য ছিল সাড়ে ৪ ফুট, ওজন সাড়ে ৩৮ কেজি। শিকড়ের ওজন ছিল ৬০ কেজি এবং লতার ওজন ১৪০ কেজি।
কৃষক মহিউল ফারুক বুলবুল জানান, শখের বশে এক বন্ধুর বাড়ি থেকে চার বছর আগে পাঁচটি চুঁই গাছ এনে লাগিয়েছিলেন। এক বছর ধরেই কেনার জন্য লোক আসছে। গত মঙ্গলবার একটি গাছ ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশ পেলে অনেকেই চুঁই গাছ নিয়ে জানতে তাঁর কাছে আসছেন। এর মধ্যে তিনি প্রায় ১০০ গাছ লাগিয়েছেন।
চুঁই গাছটির ক্রেতা আজিজুল ইসলাম বলেন, তিনি এলাকা থেকে চুঁই গাছ কিনে খুলনা, সাতক্ষীরার মহাজনের কাছে বিক্রি করেন।
এই গাছটি তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার টাকায় কিনে খুলনার মোকাররম হোসেন নামে এক মহাজনের কাছে ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। তিনি আরো জানা, এই চুঁই পান গাছ বিক্রি করে তিনিও স্বাবলম্বী হয়েছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চুঁই লতাজাতীয় গাছ। কাণ্ড ধূসর, পাতা পানের মতো। কাণ্ড থেকে আকর্ষি বের হয়, সেই আকর্ষি মাটিতে বিশেষভাবে রোপণ করলে সেটি থেকে গাছ হয়। এর কাণ্ডটি মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে প্রতি কেজি শুকনো চুঁইয়ের প্রতি কেজির দাম ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দা সিফাত জাহান জানান, কালীগঞ্জে মূলত সুপারি বাগানে সাথি ফসল হিসেবে চুঁই লাগানো হয়। তিনি আরও জানান, চুঁই গাছটি বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা বিষয়টি কৃষি উপ-সহকারি কাছে জেনেছি।