নীহার রঞ্জন সরকার , ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
আজ বুধবার পবিত্র ঈদের জামাত শেষে পশু কোরবানীর মাংশ কাটতে গিয়ে দেড় শতাধিক লোক বিভিন্নভাবে আহত হয়। আহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যার হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দিয়ে ছেড়ে দিলেও এদের মধ্যে ১০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের তথ্যানুসারে গেছে আহতদের মধ্যে কারো অবস্থা গুরুতর নয়। সকলকে জরুরী চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পশু জবাই ও পশুর মাংস কাটায় অংশ নেয়া অধিকাংশই পেশাদারের পাশাপাশি মৌসুমী কসাই ও পরিবারের সদস্যরা।
আহতদের মধ্যে পৌর এলাকার কাজীপাড়া এলাকার মোস্তাক আহমেদ জানান, পায়ের নিচে মাংস রেখে কাটার সময় আমার পায়ে কোপ পড়ে যায়। তার পায়ে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
সদর উপজেলার রামরাইল গ্রামের আহত নয়ন জানান, অসাবধানতা বসত তাঁর হাতে ছুরি লেগে অনেকটা কেটে যায়। সদর হাসপাতালে এসে ব্যান্ডেজ করার পর রক্ত বন্ধ হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রাজীব জানান, সকালে কোরবানির পশু মহিষ জবাই করার সময় সেটির বাঁধ ছিড়ে তাঁর উপর ছিটকে পড়ে। এতে তার হাত, মুখ ও শরিরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হন।