জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে ফ্রান্সের কর্ডোয়ান বাতিঘর, ফ্রান্সে যেটি পরিচিত ‘বাতিঘরের রাজা’ নামে। শনিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাটি।
১৬ শতকের শেষদিকে আটলান্টিক মহাসাগর ও ফ্রান্সের গিরোঁদে নদীর মোহনার মুখে তৈরী করা হয়েছিল এই কর্ডোয়ান বাতিঘর। ফরাসি স্থাপত্যবিদ ও প্রকোশলী লুইস দে ফয়েক্স এটির নকশা ও নির্মাণ কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরে আঠার শতকের শেষ দিকে এটি পুনরায় নির্মাণ করেন প্রকৌশলী জোসেফ টিউলেরে।
বাতিঘরটিকে মধ্যযুগের ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম সেরা নিদর্শন উল্লেখ করে বিবৃতিতে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘মধ্যযুগের শুরুর দিকে ইউরোপে যখন বাতিঘর নির্মাণ শুরু হলো, সে সময়কার একটি পর্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করছে কর্ডোয়ান বাতিঘর এবং এর পাশাপাশি এটির নকশা, গঠন ও নির্মাণশৈলী ছিল সেই সময়ের বিচারে একটি অনন্য ব্যাপার। কর্ডোয়ান বাতিঘরের নকশার অনুসরণে পরবর্তিতে ইউরোপে বেশ কয়েকটি বাতিঘর তৈরি হয়েছে।’
‘বাতিঘরটির আর একটি লক্ষণীয় ব্যাপার এর নিরাপত্তাগত দিক। অত্যন্ত মজবুতভাবে তৈরী এই বাতিঘরটি গত কয়েকশ বছর ধরে বৈরী জলবায়ু ও অসংখ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ্য করেও মোটামুটি অক্ষত আছে।’
ইউনেস্কোর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘একসময় বিশ্বে বিভিন্ন দেশের মধ্যে যোগাযোগের প্রধান ও প্রায় একমাত্র মাধ্যম ছিল জলপথ। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার কারণে আজ আমাদের কাছে এটি নেহাতই একটি স্থাপত্যকর্ম, কিন্তু গত কয়েকশ বছর ধরে অসংখ্য জাহাজকে সামুদ্রিক যাত্রার দিক নির্দেশনা দিয়েছে এই বাতিঘর। আজ থেকে মাত্র দেড়শ থেকে দু’শো বছর আগেও এমন চিত্র ছিল।’
এই নিয়ে দু’টি বাতিঘর স্থান পেল ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায়। এর আগে স্পেনের লা করুনা বাতিঘরকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল ইউনেস্কো।
সূত্র : এএফপি