পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সড়ক দূর্ঘটনায় কাভার্টভ্যান-সিএনজি সংঘর্ষে চলন্ত সিএনজির চালকসহ ৪ জন নিহত। এক শিশুসহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। দূর্ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেল পোনে ৬টার দিকে রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের পলাশবাড়ী পৌরশহরের প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র নামক স্থানে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রংপুর থেকে একটি সিএনজি যাত্রী নিয়ে পলাশবাড়ী অভিমুখে আসছিল। এরইমধ্যে সিএনজিটি পলাশবাড়ী পৌরশহরের প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র সংলগ্ন মহাসড়কে পৌঁছলে রংপুরগামী একটি কাভার্টভ্যান সিএনজিটিকে চাপা দিয়ে দ্রæত পালিয়ে যায়। এতে সিএনজি ডুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে চালকসহ ঘটনাস্থলেই ৩জন নিহত হয়।
পলাশবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের টিম, থানা পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশসহ স্থানীয়দের সহযোগিতায় শিশুসহ আহত ৪জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে এক মহিলাসহ ৩ জনের অবস্থার অবনতি হলে তাদের দ্রæত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময় হাসপাতালেই মহিলার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে গুরুতর আহত দুইজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনাক্রমে বেঁচে যাওয়া নিহত মহিলার শিশু সন্তান শুভ (৭)-এর তথ্য মোতাবেক তারা রংপুর মডার্ণ মোড় থেকে আসছিল। তার বাবার নাম বাবু মিয়া এবং মা নিহত সাম্মী আকতারসহ একটি মোবাইল ফোন নম্বর বলতে পারে।
হাসপাতালে নিহত সাম্মী বেঁচে থাকা অবস্থায় তার সন্তানের খোঁজ করলে শিশু শুভ মাকে বলে মা আমি ঠিক আছি। নিহতদের মধ্যে রংপুর মডার্ণ মোড় এলাকার বাবু মিয়ার স্ত্রী সাম্মী আকতার (৩৯), গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ীর সিএনজি চালক সবুজ মিয়া (৩০)। আহতদের মধ্যে রংপুর গারাগাছ উপজেলার বাংলাবাজারের আনারুলের ছেলে শাহ আলম (৪৫), জিন্টু (৩০) ও ভোলা মিয়া (৪২)।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ হাসপাতালে আহতদের খোঁজ খবর নেন। পরে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মতিউর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্যান্য নিহত ও আহতদের নাম পরিচয় পাওয়া সম্ভব হয়নি।