নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ফুডস ফ্যাক্টরিতে (সেজান জুসের কারখানা) লাগা আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। ৩টি মরদেহের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। মরদেহ তিনটির পরিচয় শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিআইডি ফরেনসিক বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার রোমানা আক্তার।
তিনি বলেন, রূপগঞ্জের আগুনে মারা যাওয়া ৪৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছি। এদের মধ্যে ৩০ জন নারী ও ১৫ জন পুরুষ।
তিনি বলেন, আমরা ডিএনএ টেস্টের জন্য দুই ধরনের নমুনা সংগ্রহ করেছিলাম। ঘটনাস্থল থেকে যে ৪৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয় প্রথমে তাদের নমুনা সংগ্রহ করি। পরে মরদেহগুলোর ৬৯ জন স্বজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসব নমুনা সংগ্রহ করে এই ৪৫ জনের মরদেহ আমরা শনাক্ত করতে পেরেছি। বাকি মরদেহগুলো শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
গত ৮ জুলাই রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় আগুনে পুড়ে ৫১ জনের মৃত্যু হয়। নিহত তিনজনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় তখনই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। বাকি লাশগুলো শনাক্ত করার উপায় ছিল না। পরে লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়। এরপর স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়।