বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনাভাইরাসের ডিএনএ টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছে ভারত। দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা তিন ডোজের জাইকোভ-ডি নামের এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে। ফলে দেশটিতে টিকাদান কর্মসূচি আরও বেগবান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। টিকাটি তৈরি করেছে কাডিলা হেলথকেয়ার। তারা এর অন্তর্বর্তী গবেষণায় দেখতে পেয়েছে, টিকাটি গ্রহণকারীদের লক্ষণযুক্ত কভিড ৬৬ শতাংশ রুখে দিতে সক্ষম। কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা প্রতি বছর ১২ কোটি ডোজ টিকা তৈরির পরিকল্পনা করছে। এর আগে ডিএনএ টিকা প্রাণীর ক্ষেত্রে ভালো সাফল্য দেখাতে পারলেও মানুষের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে।
ভারত এর আগে কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন এবং স্পুটনিক-ভি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। জাইকোভ-ডি অনুমোদন পাওয়া দ্বিতীয় দেশীয় টিকা। এখন পর্যন্ত এসব টিকার ৫৭ কোটি ডোজ দেশটির মানুষকে দেওয়া হয়েছে। গত জানুয়ারিতে দেশটিতে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত প্রায় ১৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে টিকার দুই ডোজ দেওয়া হয়েছে। আর টিকার অন্তত একটি ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪৭ শতাংশ মানুষকে।
কাডিলা হেলথকেয়ার জানিয়েছে, তারা ভারতে ৫০টির বেশি সেন্টারে ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালিয়েছে। এ ছাড়া প্রথমবারের মতো ১২-১৮ বয়সী ১ হাজার মানুষের ওপরও টিকাটির পরীক্ষা চালানো হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে এই টিকা 'নিরাপদ এবং সহনশীল' প্রমাণিত হয়েছে বলেও দাবি কাডিলার। ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর কাডিলা তাদের তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালায়। টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাটি বলছে, উচ্চ সংক্রামক ডেলটা ধরনের বিরুদ্ধে 'কার্যকারিতা' দেখিয়েছে জাইকোভ-ডি।
এর আগে ক্যান্সার ও এইচআইভির চিকিৎসায় ডিএনএ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। জাইকোভ-ডি ভারতের প্রথম সুচমুক্ত কভিড টিকা। এটা সুচ ছাড়াই বিশেষ পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডিএনএ টিকা তুলনামূলক সস্তা, নিরাপদ ও স্থিতিশীল। এটা তুলনামূলক উষ্ণতায় তথা ২ থেকে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায়। সূত্র : বিবিসি।