জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন ১৮ অক্টোবর। দিনটি এবার থেকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হবে। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে শেখ রাসেল দিবসকে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে পালনের বিষয়ে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর ১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালন এবং একই সঙ্গে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এ-সংক্রান্ত পরিপত্রের ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে জন্ম নেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল ছিল সর্বকনিষ্ঠ। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় এই ছোট শিশুটিকেও। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র রাসেলের বয়স তখন ছিল মাত্র ১০ বছর। নির্মম সেই হত্যাকাণ্ডের এত বছর পর জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেল শেখ রাসেলের জন্মদিন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ প্রস্তাব নিয়ে এসেছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে পাঁচ হাজারের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেল দিবস পালন করছে। শিশু একাডেমিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এটা পালন করছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশের শিশুদের মধ্যে একটা বড় প্রভাব সৃষ্টি করার জন্য ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ তাতে সম্মতি দিয়েছে।
শেখ রাসেলের জন্মদিন জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া প্রসঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এখন থেকে প্রতি বছর ১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেল দিবস’ জাতীয়ভাবে পালিত হবে। এর মাধ্যমে শিশু-কিশোররা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বন্ধে জানতে পারবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে পারবে। ১৫ আগস্টের যে বিয়োগাত্মক ঘটনা সেটি তারা জানতে পারবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, এ দিবসে আমরা শপথ নেব শেখ রাসেলের মতো কোনো শিশুই যেন আর কখনো নির্মমতার শিকার না হয়। শুধু বাংলাদেশেই না, সারা বিশ্বেই যেন শিশুরা নিরাপদ থাকে। আমরা একই সঙ্গে প্রস্তাবও করেছি ১৮ অক্টোবর শিল্প, সাহিত্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও প্রযুক্তিতে জাতীয় পদক প্রদানের। এটি হলে এ খাতগুলোতে শিশুদের উৎসাহিত করা যাবে।