মাকে মারধর করায় নিজ ছেলেকে মেরে ঘরের মেঝেতেই পুতে রাখলেন এক বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলা দুর্গাপুরের কাকৈরগড়া ইউনিয়নের তিতারজান গ্রামে। খবর পেয়ে আজ রবিবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পিতা আলী আমজাদ (৬০) ও মা রাবেয়া (৫৫) কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, তিতারজান গ্রামের আলী আমজাদের ছেলে আব্দুল হক (২৮) মাদক সেবনকারী। মাদক সেবনের জন্য প্রায়ই পিতার কাছে টাকা চাইতো। টাকা না দিলেই আব্দুল তার বাবা মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারধরসহ মানসিক অত্যাচারসহ ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করতো।
গতকাল শনিবার রাতেও মাদকের জন্য তার বাবার কাছে টাকা চাইলে বাবা মা টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর শুরু করে এবং মাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে ফেরাতে বৃদ্ধ পিতা উত্তেজিত হয়ে ঘরে রক্ষিত মোগর (কাঠের তৈরি শক্ত হাতল) দিয়ে মাথায় আঘাত করেন।
এদিকে মাথায় আঘাত পেয়ে ছেলে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে রাতে পুলিশের ভয়ে ঘরের মেঝেতেই লাশ পুরে রাখেন বাবা মা। কিন্তু রবিবার (২৯ আগস্ট) সকালে স্থানীয় কাকৈরগড়া ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ বিষয়টি শুনে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বৃদ্ধ বাবা ও মাকে থানায় নিয়ে আসে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।
এ ব্যাপারে নিহত আব্দুল হকের মামা নুরুল সিদ্দিক বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে আমাকে মামলা করতে বললেও আমি করবো না। কারণ আমার ভাগ্নে এর আগেও বেশ কয়েকবার এমন করেছে। বাবা, মা, ভাই ও বোনকে মারধর করেছে নেশার জন্য। তার ভাই ও বোন নির্যাতিত হয়ে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। জেল খাটার পর আবার বের হয়ে এসে এসবই করছে।
দুর্গাপুর থানার ওসি শাহ্ নূর এ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাবা আলী আমজাদ ও মাতাকে নিয়ে আসা হয়েছে। মায়ের যেহেতু আঘাতে হাত ভেঙ্গে গেছে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখান থেকে আসলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।