মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী প্রতিনিধি:
স্কুলছাত্রী অপহরণের ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও হদিস মিলছে না ৮ম শ্রেণী পড়–য়া শিক্ষার্থীর। রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল কলোনী এলাকায় একদল বখাটে কর্তক ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর গুম করে ফেলার অভিযোগ করেছে পরিবার। এ ঘটনার সাথে জড়িত বখাটে রকিসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে স্কুলছাত্রী অপহরনের দুই দিন পর ছাত্রীর বাবা মো. মনিউল হুদা রুবেল বাদী হয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় কানামোড় এলাকার মো. খলিলের ছেলে রকিসহ (২৩) তার ৪জন সহযোগীদের নাম উল্লেখ করে একটি অপহরণের মামলা করেছেন।
মামলার হওয়ার ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও মেয়ে উদ্ধার না হওয়ায় তার পুরো পরিবারে নেমে এসেছে হতাশা। প্রতিনিয়ত মেয়ের খোঁজে এখানে-ওখানে ধরনা দিলেও কোনো প্রকার প্রতিকার পাচ্ছে না তার পরিবার। এই অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের মাঝে চলছে কান্নার রোল।
অপহরণের শিকার ছাত্রীর চাচা রনি অভিযোগ করেন, তার ভাতিজি নগরীর মসজিদ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার ভাতিজি প্রাইভেটে যাওয়ার সময় উত্ত্যক্ত করাসহ প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল রকি নামের এক যুবক। এ নিয়ে বখাটে রকির বাবা-মা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হলেও কোনো সমাধান পাননি।
মনিউল হুদা রুবেল বলেন, গত (১৯ আগস্ট) বিকাল ৪টার দিকে শিরোইল কলোনী খাদ্য গোডাউন সঙ্গলগ্ন বাড়ির গেটের সামনে উপস্থিত হওয়া মাত্রই বখাটে রকি ও তার সহযোগীরা আমার মেয়েকে কৌশলে জোরপূর্বক অটোরিক্সায় উঠিয়ে অপহরণ করে এবং অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
এরপরগত ২১ আগস্ট থানায় মামলা রেকর্ড হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশের তৎপরতা বেশ প্রশ্নবিদ্ধ বলে অভিযোগ পরিবারের।
ছাত্রীর বাবা ও মামলার বাদী মনিউল হুদা রুবেল বলেন, এত দিন হয়ে গেলেও আমার শিশু কন্যাকে এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমার মেয়েকে উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে চন্দ্রিমা থানার ওসি ইমরান হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল আমি নিজেই পরিদর্শণ করেছি। ভিকটিমকে উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের সার্বিক চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, তদন্ত শেষে পুলিশি প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করা হবে বলেও জানান ওসি।