গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:
গোপালগঞ্জে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর। প্রথম পর্যায়ে ৫০৯ কোটি টাকা ব্যায় ধরা হয়। প্রকল্পের কাজ ৩ দফা পিছিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭০৫ কোটি চার লাখ টাকা। এছাড়াও প্রকল্পটির কয়েকটি ভবন ও রাস্তার কাজের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে উদ্বোধনের আগেই ১০ লাখ টাকার মালামাল চুরিও হয়ে গেছে।
গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০১৯ সালে। পরবর্তীতে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা। তার পরেও শেষ করতে পারেনি প্রকল্পর নির্মাণ কাজ।
স্বাস্থ্য প্রকৌশলী বলছে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে । কিছু ভবন ও রাস্তার নিম্নমানের অভিযোগ উঠেছে। মেডিকেলের রাস্তার খোয়া উঠে যাচ্ছে, ভবনের পলেস্তারা ও টাইলস খসে যাচ্ছে। প্রতিটি এসি’র পানি পড়ছে রুমের ভেতর দিয়ে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় রাস্তায়।
এদিকে উদ্বোধনের আগেই নবনির্মিত কয়েকটি ভবন থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়ে গেছে। তবে বৈদ্যুতিক, ফার্নিচার ও একাডেমিক কাজের প্রয়োজনীয় মালামালও কেনা কাটায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। যা কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচার হয়েছে।
৩৬ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের প্রকল্পর কাজ। ২০১২ সাল থেকে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হলেও শুধু জমি অধিগ্রহণ করতেই সময় লেগে যায় ছয় বছর। এ জন্য প্রকল্পের মেয়াদও এ পর্যন্ত তিন দফায় বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে বাস্তবায়নকারী সংস্থা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের (এইচইডি) সূত্রে জানা গেছে।
এ প্রকল্পে ১৭টি প্যাকেজের আওতায় সর্বমোট ৩৮টি ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। প্রথম সংশোধিত প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ৫০৯ কোটি ৯৮ লাখ এবং দ্বিতীয় সংশোধিত প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ৭০৫ কোটি চার লাখ টাকা। এরই মধ্যে গোপালগঞ্জ হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে কোটি কোটি টাকা উত্তোলন করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
প্রকল্পর অহিদ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল সাবের জানিয়েছেন, আমরা কোন কাজে অনিয়ম করছি না। আগামী ডিসেম্বরে কাজ শেষ করতে পারবো।
প্রকল্পর পোদ্দার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানার ভারি জানবাহন চলাচলে রাস্তার কিছুটা খোয়া উঠেগেছে। আমরা সেটা মেরামত করে দেব।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইব্রাহীম খলিল ফারুকি জানিয়েছেন, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের কাজে সামন্য কিছু অনিয়ম থাকলে তা উদ্বোধন করার আগে ঠিক করে দেব। কয়েকটি ভবেনের বাথরুমের প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তা লাগিয়ে দেবে।