আব্দুল্লাহ আল হাসিব:
আজ মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস। এ বছর বিশ্ব শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শিক্ষা পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দুতে শিক্ষক'।
বিশ্বের সব শিক্ষকের অবদানকে স্মরণ করার জন্য জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেস্কোর ডাকে এ দিবসটি পালন হয়ে থাকে। ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতিবছর ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে বিশ্ব শিক্ষক দিবস।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে পুরো বিশ্বই যেন থমকে ছিল, থমকে ছিল শিক্ষাব্যবস্থাও। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আবারও শিক্ষা পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে এ বছর বিশ্ব শিক্ষক দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, “শিক্ষা পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দুতে শিক্ষক”।
দিবসটির পটভূমিতে জানা যায়, বিশ্বব্যাপী শিক্ষক ইউনিয়নসমূহের ফেডারেশন এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল (ইআই) ও এর ৪০১টি সংগঠন এ দিবসের ব্যাপক স্বীকৃতি অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। এ সংগঠন শিক্ষা পেশার অবদানকে তুলে ধরে প্রতিবছর জনসচেতনতা মূলক প্রচার চালায়। এডুকেশন ইন্টারন্যাশনালের মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবসকে সব দেশে স্বীকৃতি এবং উদযাপিত হওয়া উচিত। শিক্ষকদের অধিকার, করণীয় ও মর্যাদা সুরক্ষায় ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৬৬ সালের ৫ অক্টোবর প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ১৪৫টি সুপারিশ গৃহীত হয়। এসব সুপারিশের মধ্যে শিক্ষকদের মৌলিক ও অব্যাহত প্রশিক্ষণ, নিয়োগ ও পদোন্নতি, চাকরির নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা বিধানের প্রক্রিয়া, পেশাগত স্বাধীনতা, কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন, দায়িত্ব ও অধিকার, শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, কার্যকর শিক্ষাদান ও শিখনের পরিবেশ এবং সামাজিক নিরাপত্তা অন্যতম।
পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) উপর্যুক্ত সুপারিশসমূহ অনুমোদন করে। ১৯৯৩ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম অনুষ্ঠানে ৫ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে প্রথমবার দিবসটি পালন করা হয়। তবে ১৯৯৫ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে শিক্ষকরা মোটা দাগে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উদযাপন শুরু করেন।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হবে। বিশ্ব শিক্ষক দিবস জাতীয় উদযাপন কমিটি সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এতে মূল বক্তব্য পাঠ করবেন বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সমন্বয়ক অধ্যাপক কাজী ফারুক আহমেদ।