আব্দুল্লাহ আল হাসিব, বরিশাল প্রতিনিধি:
বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের লেবুখালীতে নব নির্মিত দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের পায়রা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ২৪ অক্টোবর (রবিবার)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এর উদ্বোধন করবেন।
সেতুটি উদ্বোধন হলে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে দেশের সর্ব দক্ষিণের কুয়াকাটা পর্যন্ত ফেরীবিহীন সড়ক যোগাযোগ চালু হবে। এতে কমবে মানুষের দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ।
এদিকে দুটি অ্যাবাটমেন্ট ও ৩১টি পিয়ারে নির্মিত সেতুটির টোল আদায়ের জন্য পটুয়াখালী প্রান্তে নির্মিত হয়েছে টোল প্লাজা। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এ সেতুতে টোল আদায় করা হবে।
বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী মিরাজ মাহমুদ বলেন, সেতুটি খুলে দেয়ার পর পদ্মার এ পারের ১১ জেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ সহজতর হবে। বরিশাল থেকে পায়রা সমুদ্রবন্দর, তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ও কুয়াকাটা যেতে সময় লাগবে মাত্র দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা। পদ্মা সেতু খুলে দিলে পর্যটন শিল্পের প্রসার হবে। কুয়াকাটা থেকে ঢাকা সড়ক যোগাযোগে কোনো ফেরির প্রয়োজন হবে না। এমনকি উত্তরবঙ্গের সাথেও কুয়াকাটার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করবে এ সেতু। ঢাকা থেকে কুয়াকাটা কক্সবাজারের চেয়ে কাছে হবে। ঢাকা থেকে কুয়াকাটায় যেতে সময় লাগবে মাত্র সাত ঘণ্টা।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী সেতুর পর এটি দেশের দ্বিতীয়, যা এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল সিস্টেমে তৈরি করা। কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ বিনিয়োগে সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৭০ কোটি টাকা।
লেবুখালী-পায়রা সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হালিম বলেন, এই সেতুতে বেশ কিছু নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে নদীর মধ্যে এবং পাশে থাকা পিয়ারে যাতে কোনো নৌযান ধাক্কা দিতে না পারে, সে জন্য পিয়ারের পাশে নিরাপত্ত পিলার স্থাপন করা হচ্ছে।
এ ছাড়া বজ্রপাত কিংবা ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেতুর কোনো ক্ষতি হলো কি না, সেটি মনিটরিং করারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই সেতুতে।
ব্রিজটি উদ্ভোধন হলে পটুয়াখালী-বরগুণা জেলাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় সৃষ্টি হবে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক পথে পায়রা বন্দর ও পর্যটন নগরী কুয়াকাটার সাথে ফেরিবিহীন যোগাযোগে খুলে যাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সম্ভাবনার দ্বার।