প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন’ কৌশলপত্র নিয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন -পিআইডি
সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থা প্রবর্তনের লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে একটি আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অর্থ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা’ সংক্রান্ত কৌশলপত্র উপস্থাপনকালে এ নির্দেশ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এ সময় এ কৌশলপত্রের ওপর বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউসসহ সংশ্লিষ্ট অন্য সচিবরা এ সময় সেখানে ছিলেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের আপামর জনগণের জন্য বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতাহারে একটি সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তনের অঙ্গীকার করা হয়। সে আলোকে এ কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। এজন্য আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিবেচনা করা হয়েছে। এর আগে জাতীয় বাজেটেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল সর্বজনীন পেনশনের। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, দেশে গড় আয়ু ও প্রবীণের সংখ্যা বাড়ায় সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিও বাড়ছে। ফলে সর্বজনীন পেনশন সুবিধার প্রয়োজনীয়তা বেড়ে চলেছে। সরকারের অনুমোদিত এক বা একাধিক কোম্পানির মাধ্যমে এসব তহবিল পরিচালিত হবে। সর্বজনীন পেনশন হতে পারে ‘অংশীদারত্বের ভিত্তিতে’। এতে চাকুরে এবং নিয়োগ কর্তৃপক্ষ উভয়েরই অবদান বা অংশগ্রহণ থাকবে। একজন কর্মজীবী তার মাসিক বেতন বা আয় থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দেবেন এ তহিবলে। একই সঙ্গে নিয়োগ কর্তৃপক্ষও সমপরিমাণ টাকা জমা দেবে। অন্যদিকে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মজীবীরা সঞ্চয়ের নির্দিষ্ট অংশ জমা দেবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, তহবিল কীভাবে পরিচালিত হবে, চাকরিজীবী বেতনের কত অংশ জমা দেবেন, নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কত টাকা দেবে, বিনিয়োগের অর্জিত আয়ের কত অংশ সুবিধাভোগীদের দেওয়া হবে-সেসব বিষয় আইনি কাঠামোর মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে।