মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশ দ্বার বলে খ্যাত মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে নিত্য দিনের যানজট নিরশনসহ যাত্রীসাধারণের সহজ যাতায়াত ও হয়রানী রোধে পুলিশ সুপার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান পাটুরিয়া ফেরি ঘাট পরিদর্শনে এসে ঘাট সংশ্লিষ্টদের নানা দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় শিবালয় সার্কেলের সদ্যযোগদানকৃত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী, শিবালয় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহিন উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, স্পর্শকাতর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি-লঞ্চে পারাপারে বিভিন্ন পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ যাত্রীদের নানাবিধি হয়রানীর শিকার হতে হয়। এছাড়া ফেরি পারের জন্য আসা বিভিন্ন যানবাহন সৃষ্ট যানজটে আটকা পড়ে ঘাট এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকে। আটকে পড়া এসকল পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের দুর্ভোগ লাগব ও সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্যদেরকেও চরম বেগ পেতে হয়। বিশেষ করে ঈদ ও বিভিন্ন উৎসবে ঘাটের পরিস্থিতি এতটাই নাজুক হয়ে পড়ে যে তা বর্ণনা করাও কষ্টের। এসব সমস্যা দুর করনেই মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ অগ্রীম প্রস্ততি নিচ্ছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
ঘাট পরিদর্শনে এসে পুলিশ সুপার গণমাধ্যেমকে জানান, আসন্ন রমজান ও ঈদ উপলক্ষে ঘাট এলাকার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও যাত্রী সাধারনের হয়রানী রোধে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে পুলিশকে আরো সক্রিয় থাকতে বলা হয়েছে। ফেরির বুকিং কাউন্টারে দালালী, ফেরিতে জুয়া, ছিনতাই, হোটেল রেস্তোরায় বাশি-পঁচা খাবার পরিবেশনসহ ঘাট এলাকায় অপরাধের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি আরো জানান, আগামী রমজান ও ঈদে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যাতায়াত নির্বিঘœ করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফেরি-লঞ্চ, ঘাটের পন্টুন প্রস্তুতসহ নৌ পথের নাব্যতা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী ঈদে প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ বা সঙ্কট না হলে সহসাই এরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করতে পারবে।